সম্পূর্ণ উদ্ভিদ বা ফুল-ফলসহ উদ্ভিদের অংশ বিশেষ চাপে শুকিয়ে গ্লু দিয়ে শক্ত বোর্ড পেপারের (৪৩ × ২৭ সেমি) সাথে আটকে দেয়াকে মাউণ্টিং বলা হয়। উক্ত উদ্ভিদ প্রজাতিটি সর্ম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যাদি লিপিবদ্ধ করা একটি লেবেল গ্লু দিয়ে এই শীটের সাথে এঁটে দেয়া হয়। বিশ্বের প্রায় সকল হারবেরিয়ামে এই পদ্ধতিতে উদ্ভিদ নমুনা সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামে ৪০০০০-এর অধিক শুষ্ক উদ্ভিদ নমুনা ৩০০ গ্রাম সুইডিশ বোর্ড পেপারের উপর মাউণ্ট করে সংরক্ষণ করা আছে। এই পদ্ধতিতে অধিক সংখ্যক উদ্ভিদ নমুনা অল্প জায়গায় এবং সুবিন্যাস্ত পদ্ধতিতে হাজার বছরেরও বেশী সময় পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। ন্যাশনাল হারবেরিয়ামে আর্থার ক্রনকুইস্টের (১৯৮১) শ্রেণীবিন্যাস অনুযায়ী সপুস্পক উদ্ভিদ পরিবারগুলো বিন্যস্ত করে রাখা হয়েছে এবং প্রতিটি পরিবারের অধীন গণ এবং প্রতিটি গণের অধীন প্রজাতিগুলো বর্ণানুক্রমিকভাবে সাজানো আছে। মাউণ্টেড হারবেরিয়াম শীটের পরিপূরক হিসেবে সংশ্লিষ্ট উদ্ভিদের রঙিন ছবি, স্পিরিটে সংরক্ষিত নমুনা এবং বোতলে সংরক্ষিত শুকনো নমুনা সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। |