জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাঠের গুরুত্ব অপরিসীম। কাঠ বলতে বুঝায় যে সকল গাছ জ্বালানী ছাড়া বাড়িঘর নির্মাণ, আসবাবপত্র তৈরী, জাহাজ ও ব্রীজ তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশ জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ একটি দেশ। এদেশে প্রায় ৫০০০ উদ্ভিদ প্রজাতি রয়েছে। এর মধ্যে বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ রয়েছে প্রায় ৯১৫ টি বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ প্রজাতি দেশের বনাঞ্চলগুলোর প্রধান উপাদান, বৃক্ষপ্রজাতির প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ গুরুত্ব রয়েছে। সকল বৃক্ষ প্রজাতি হতে ভালো মানের কাঠ পাওয়া যায় না বিধায় অনেক বৃক্ষ প্রজাতির পরিচিতি কম। বাংলাদেশের বর্ধিত জনসংখ্যার চাহিদা মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত কাঠ জোগান দিতে এদেশের কাঠ উৎপাদনকারী উদ্ভিদের উপর চাপ পড়বে। বানিজ্যিকভাবে ৪০-৫০ প্রজাতি কাঠ উৎপাদনকারী উদ্ভিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসলেও আরো অনেক প্রজাতি রয়েছে যাদের কাঠের গুনগত মান ভালো। এসব কাঠ বাড়িঘর নির্মাণ, আসবাবপত্র তৈরীতে ব্যবহার করা যায়। ৩৪২ টি প্রজাতির বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদ ফরেস্ট ইকোসিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম এদেশে জন্মে এমন ২২৯ টি কাঠ উৎপাদনকারী উদ্ভিদ প্রজাতির তালিকা প্রণয়ন করেছে এবং এদের কাঠের গুনাগুন বিশ্লেষণ করেছে। নিম্নে কয়েকটি কাঠ উৎপাদনকারী উদ্ভিদের নাম দেওয়া হলো।
|